Wednesday, July 27, 2011

জাকির নায়েকের পক্ষে ওকালতি করে একটি চরম কুফরীমূলক বক্তব্য !

ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয় সেগুলো উল্লেখ পূর্বক জওয়াব নিচে দেওয়া হলো:
প্রশ্ন ১. তিনি কোন ইমামের অনুসারী? সোজা বাংলায় কোন মাযহাবের অনুসারী?
উত্তর: তিনি সকল মাযহাবের অনুসারী। কারণ সকল ইমামরাই একমত যে যখনই সহীহ হাদীস পাবে সেটাই আমার মাযহাব। অতএব তিনি সকল মাযহাবের অনুসারী।
প্রশ্ন ২. তিনি কেন টাই পড়েন ? এটা তো পড়া হারাম?
উত্তর: ইসলামে পোশাকের মূলনীতি দেয়া আছে। আমি তার কয়েকটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি।
১. নারীদের সারা অঙ্গ ঢাকতে হবে। কিন্তু পুরুষের সতর নাভী থেকে হাটু পর্যন্ত। এবং সলাত আদায় করার সময় কাঁধে কাপড় না থাকলে সলাত আদায় হবে না।
২. নারীরা গিরার নিচেও কাপড় পরিধার করতে পারবে কিন্তু পুরুষদের জন্য এটা নিষেধ।
৩. নারীরা রেশমী কাপড় ও সোনার তৈরী গহনা পড়তে পারবে কিন্তু পুরুষদের জন্য তা হারাম।
৪. পোশাক ঢিলেঢালা হতে হবে।
৫. পোশাক এমন হতে পারবে না যেটি বিপরীত লিঙ্গের পোশাক।
৬. পোশাক এমন হতে পারবে না যাতে শরীরের ভিতরের অংশ দেখা যায়।
৬. অবিশ্বাসীদের বিশেষ কোন চিহ্ন বুঝায় এমন পোশাক বা লেবেল পরিধান করা যাবে না। যেমন, ক্রুশ, কপালে ওম লিখা, মাথার টিকা প্রভৃতি।
এবার আসি টাই নিয়ে । তিনি কেন টাই পড়েন কেন? অনেক মুসলিম আছে তাদের ধারণা টাই হলো ক্রসের প্রতীক ।কিন্তু খ্রিস্টানদের কোন ধর্মগ্রন্থেই বলা নেই যে, টাই ক্রসের প্রতীক। বরং বিশেষজ্ঞদের মতে ঠান্ডা আবহাওয়ার দেশের লোকেরা টাই পড়ে কাপড় বেধে রাখতো। তাই টাই পড়া হারাম নয়। তবে গলায় ক্রম যেটা যোগ চিহ্নের মতো সেটো পড়া হারাম।
প্রশ্ন ৩.
তিনি কেন ইয়াযিদ এর নাম নিতে গিয়ে peace be upon him. পড়েন ?
এটা একটি বড় বিষয় । এ বিষয়ে চুম্বক ধারণা দিচ্ছি ইনশআল্লাহ এই সপ্তাহেই এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো । তা হচ্ছে এটাই কুরআন ও সুন্নাহ পন্থীদের মত। শিয়াদের অপপ্রচারে আমরা এমন কিছু জানি যা ঠিক না । তা পরের পোস্টে আসছে। ইমাম বুখারী, ইমাম আলবানী, ইমাম ইবনে কাসীর, ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম, ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ সহ আহলে সুন্নাতপন্থীরা তাঁকে তাবেয়ী বলেছেন। আর আমাদের এটা জেনে রাখা উচিত যে, তাবেয়ীরা শরীয়াতের মানদন্ড নয়। রাসূল (সা)ই আমাদের মানদন্ড। তিনি যদি কাফের হয়, তবে আমি শুধু এতটুকু জানতে চাই সেই কাফেরের অধিনে অন্যান্য সাহাবীরা কেনো তার হাতে বাইয়াত করেছিলো ? যদি তিনি মদখোর, কাফের, হন, তাহলে অন্যান্য সাহাবীরা কি করে একজন কাফেরের নিকট বাইয়াত করলেন? আর ইসলামের ওই যুগে যেসব যুদ্ধ বা মতবিরোধ হয়েছে সে ব্যাপারে আমাদের চুপ থাকাই উত্তম । কারণ মুসলিম নামধারী ইয়াহুদীদের চক্রান্তে এমনভাবে ছড়িয়ে পরেছিলো যে, সাহাবীরাও এ চক্রান্ত হতে রেহাই পায় নি। আর সাহাবীরা এ যুদ্ধগুলো পরষ্পরকে কাফের ভেবে যুদ্ধ করেন নি। বরং এগুলো বুঝার ভুল ও সর্বোপরী ইয়াহুদীর চক্রান্ত ও তথ্য আদান প্রদানের ভুল।
প্রশ্ন ৪. তিনি কেন কথায় কথায় অন্য ধর্ম গ্রন্থ হতে উদ্ধৃতি দেন?
উত্তর : যারা এটা বলে থাকেন তাদের বলছি এটাও বুঝার ভুল। তিনি সেগুলো থেকেই উদ্ধৃতি দেন যেগুলোতে কুরআনের বিপরীত নেই। আর কুরআনেই তো আছে আসুন আমরা কথা বলি যা আমাদের ও তোমাদের মাঝে মিল রয়েছে।

2 comments: